২৪খবরবিডি: 'দুই লাখ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) কিনতে নতুন একটি প্রকল্প প্রস্তাব চূড়ান্ত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইভিএম কেনাসহ প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ৮ হাজার ৭শ ১১ কেটি ৪৪ লাখ টাকা। তবে এ প্রকল্পে ইভিএম সংরক্ষণের জন্যে গুদামঘর, জনবল, গাড়ি ও প্রশিক্ষণসহ আরও বিভিন্ন খাতে ব্যয় সন্নিবেশিত রয়েছে।'
 

'নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ ২৪খবরবিডিকে বলেন, নতুন এ প্রকল্পে পড়তে ইউনিট ইভিএমেন খরচ ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৫ হাজার টাকা। এর সাথে সরকারি হারে ভ্যাট ট্যাক্স যুক্ত হবে বলে তিনি জানান। এই দামে ২ লাখ ইভিএম কেনা হবে। ইসির প্রস্তাবিত মূল্য অনুযায়ী ২ লাখ ইভিএম কেনার জন্য ৬ হাজার ১শ কোটি টাকার

ইভিএম কেনা সংক্রান্ত প্রকল্পে কী কী থাকছে ?

মতো ব্যয় হবে। ভ্যাট-ট্যাক্স যুক্ত হলে তা সাত হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। একটি ইভিএমের তিনটি অংশ আছে। এগুলো হলো কন্ট্রোল ইউনিট, ব্যালট ইউনিট ও ডিসপ্লে ইউনিট। ভোটারের নিজেদের পরিচয় নিশ্চিত করতে আঙুলের ছাপ দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ডিসপ্লেতে ওই ভোটারের ছবিসহ যাবতীয় তথ্য চলে আসে। ব্যাটারির মাধ্যমে ইভিএম চলবে। চার্জ থাকবে ৪৮ ঘণ্টা। ইভিএমের সঙ্গে বাইরের কোনও ইন্টারনেট বা এ ধরনের কোনও সংযোগ থাকবে না। ফলে এটি হ্যাক করার সুযোগ নেই।'
 

'বর্তমানে আমাদের কাছে যে ইভিএম আছে, তা দিয়ে সর্বোচ্চ ৭০ থেকে ৮০টি আসনে ভোট করা সম্ভব। তাই ১৫০টি আসনে নির্বাচন করতে হলে নতুন করে ইভিএম কিনতে হবে। এ জন্য ইসি সচিবালয় নতুন একটি প্রকল্প প্রস্তাব কমিশন সভায় তুলেছিল। আমরা এটার অনুমোদন দিয়েছি। এখন পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হবে। এর আগে একটা কাজ আছে। সেটা হলো অর্থ মন্ত্রণালয়ে একটা সভা করতে হবে। তারপর সেটা প্ল্যানিং কমিশনে পাঠানো হবে। একনেক এটা চূড়ান্ত অনুমোদন করবে কী করবে না, এটা তাদের বিষয়। দেশের বিভিন্ন জায়গায় ৯৩ হাজারের মতো ইভিএম রাখা হয়েছে। নির্বাচনের সময় সেখান থেকে যন্ত্রগুলো পাঠানো হয়। আর বিএমটিএফে সংরক্ষিত আছে প্রায় ৫৫ হাজার যন্ত্র। সব মিলিয়ে ১ লাখ ৫০ হাজার ইভিএম ইসির কাছে রয়েছে।'